বিদেশ ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে পপ কনসার্টে আত্মঘাতী হামলায় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী সালমানের ভাই ও বাবাকে লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাদের গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে ত্রিপোলির কাউন্টার-টেরোরিজম বাহিনী। এদিকে, হামলায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৬জনকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। লিবিয়ার কাউন্টার-টেরোরিজম বাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ইসলামিক স্টেট (আইএস)-র সঙ্গে জড়িত ও লিবিয়ার রাজধানীতে হামলার পরিকল্পনা করার সন্দেহে তাদের গ্রেফতার করেছে ত্রিপোলির পুলিশ। সালমানের বাবার নাম রামাদান ও ছোট ভাইয়ের নাম হাশেম।এর আগে মঙ্গলবার সালমানের বড় ভাই ইসমাইলকে ম্যানচেস্টারে গ্রেফতার করা হয়।
২২ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে চালানো আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন ২২ জন। ওই ঘটনায় আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আত্মঘাতী হামলাকারীর নাম সালমান রামাদান আবেদি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সালমান আবেদীকে তারা আগে থেকে চিনতেন। ম্যানচেস্টারে জন্মগ্রহণকারী আবেদি স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করতো। এরপর সালফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে ভর্তি হয় সে। কোর্স শেষ করার আগেই সে ঝরে পড়ে। বেশ কয়েকবার লিবিয়ায় আসা-যাওয়া করেছে সে। লিবিয়া ভ্রমণের সময় সালমান উগ্রপন্থায় জড়িত হয়েছে কিনা, তা মাথায় রেখে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বুধবার হামলায় জড়িত সন্দেহে ৬ষ্ঠ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নর্থ ম্যানচেস্টারের ব্ল্যাকলি থেকে এই সন্দেহভাজন নারীসহ এ পর্যন্ত মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদর দফতরে ম্যানচেস্টার পুলিশ প্রধান জানান, তারা হামলায় জড়িত একটি চক্রকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছেন। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।